ত্রিপুরায় পথসভার অনুমতি পেলেন তৃনমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।। www.spacnewz.com
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদযাত্রার অনুমতি না দিলেও ত্রিপুরায় পথসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে তৃণমূলের তরফে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ত্রিপুরা সরকারের দেওয়া একটি প্রশাসনিক চিঠি টুইট করেছেন। তাতে ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির জন্য পদযাত্রার অনুমতি না দেওয়া হলেও তৃণমূল পথ সভা করতে পারে। চিঠিটি রবিবারের। তাতে এ কথাও বলা বলা হয়েছে যে, পথসভা কোথায় হবে তা জানিয়ে এবং যথাবিধি অনুমতি চেয়ে রবিবার রাতেই অনুমতি নিতে হবে তৃণমূলকে।
সোমবার সকালে ত্রিপুরা রওনা হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় তৃণমূলের প্রচার নিয়ে রাজনৈতিক জটিলতার মধ্যেই সোমবার সকালের ত্রিপুরার বিমান ধরেন তিনি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সকালেই জানিয়েছিলেন পদযাত্রার অনুমতি না পেলও অভিষেক ত্রিপুরা যাবেন। সকাল ৯টার সময়েই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌছয় অভিষেকের গাড়ি। ত্রিপুরায় তাঁর কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক জানান, তিনি যা বলার ত্রিপুরায় নেমেই বলবেন। আইন শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে সোমবার সকালে জানিয়েছিলেন কুণাল। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, পদযাত্রার অনুমতি না পেলেও ত্রিপুরায় পথসভার চেষ্টা করছে তৃণমূল। সোমবার সকালে টুইটে কুণাল লিখেছিলেন, ‘অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি বাতিল হল। আইনশৃঙ্খলার কারণে! রাজ্য স্বীকার করছে এখানে এত খারাপ অবস্থা যে ভোট প্রচারও অসম্ভব। বাংলায় কিন্তু সবাই গিয়ে প্রচার করেছেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও গিয়েছেন। এখানে অবস্থা খুব খারাপ। গুন্ডারা ঘুরছে।’ পরে কুণাল লেখেন, ‘তবে অভিষেক আসছেন।’ রবিবার তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পর ত্রিপুরার রাজনীতির উত্তাপ বেড়ে কয়েকগুণ। পরিস্থিতি আঁচ করে রবিবার রাতেই ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ভেবেছিলেন অভিষেক। কিন্তু রাতে কোভিড বিধির কারণ দেখিয়ে ত্রিপুরা সরকার জানিয়ে দেয় ত্রিপুরায় এলেও মিছিল করতে পারবেন না তিনি।
রবিবার রাতে বিমান অবতরণ সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় অভিষেকের আগরতলা যাওয়া হয়নি। সোমবার সকালের বিমান অভিষেক ত্রিপুরা যাবেন বলে বিকল্প কর্মসূচি তৈরি হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর বিকল্প কর্মসূচি মাথায় রয়েছে তাদের। তবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেও নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচি করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
Comments
Post a Comment